ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি হল স্বাধীনতা যুদ্ধ, বলছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভিসার অনুরোধ পাওয়াই ভারতীয় হাইকমিশনার বলেছেন তার কাজ ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য ক্রমাগত উন্নতির চেষ্টা করছে।

এটি স্থিতিশীল, প্রগতিশীল এবং সমৃদ্ধ জাতির ঢাকার রূপকল্প বাস্তবায়নে ভারত বাংলাদেশের সাথে একযোগে হাঁটতে প্রস্তুত, ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি রয়ে গেছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের জাতীয় বার্তা সংস্থারকে বলেছেন এখন আমাদের বন্ধুত্বকে লালন করার এবং ১৯৭১ সালের চেতনাকে রক্ষা ও প্রচার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

.১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে আগ্রিম আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং জনগণের বিজয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য দুই দেশের যৌথ আত্মত্যাগের প্রতীক এবং দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধুত্বের সাক্ষ্য দেই।

 তিনি আরও বলেন যে জাতিগুলির ভাগ্য আমাদের ভৌগলিক এবং ঐতিহাসিক শিকড়ের মতোই সংযুক্ত। তাই আমরা আজ আমাদের বন্ধনে সোনালী অধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি উপলব্ধির চূড়ায় রয়েছি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অন্ধকার মধ্যরাতে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে সৈন্যদের দ্বারা এট্যাক হয় এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয়। একই বছর পাকিস্তান পরাজয় স্বীকার করে এবং নিঃশর্তভাবে ঢাকায় আত্মসমর্পণ করে। 

ঢাকা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত উদ্বোধনী ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্মা বলেন, এখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অংশীদারিত্বের অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি সপ্তাহে 120টিরও বেশি ফ্লাইট ঢাকা থেকে ভারতের পাঁচটি প্রধান শহরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এছাড়া একটি ফ্লাইট দিল্লির সাথে চট্টগ্রাম এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করে।

নপর্যটনের জন্য, ব্যবসার জন্য, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষার জন্যই আমাদের জনগণের মধ্যে সংযোগ আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি সমৃদ্ধ। আগামী বছরগুলিতে দিন দিন বাড়তে চলেছে।

আমাদের আন্তঃসীমান্ত সংযোগ বাড়াতে নতুন নতুন পরিবহন সংযোগ  যুক্ত করা হচ্ছে এবং আমাদের লোকেদের একে অপরের দেশে ভ্রমণের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

গত অর্থবছরে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা নাগরিক ১৫ লাখেরও বেশি ভিসা দিয়েছে এবং এ বছর এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমরা প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যাটি বাড়তে চাই কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের মধ্যে সম্পর্কই আমাদের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভিসার অনুরোধ কাজ ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছি। এ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম. মাহবুব আলী এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম উপস্থিত ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন এবং এইচএসআইএর নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন এম কামরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময় বোয়িং ৭৩৭ দ্বারা পরিচালিত উদ্বোধনী ফ্লাইটটি ১৬১ জন যাত্রী নিয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে। 

প্রাথমিকভাবে বিমান এই রুটে সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার ঢাকা থেকে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে এবং বিকাল ৩:২০ মিনিটে চেন্নাই পৌঁছান। চেন্নাই থেকে বিকাল ৪:১৫ মিনিটে ফিরতি ফ্লাইট ছাড়বে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকায় পৌঁছাবে।