শাকসবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ খাদ্য ২৪% ঝুঁকি কমাতে পারে। কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের বিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষা অনুসারে অনেক সময় ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ ভিত্তিক খাদ্য গ্রহণ করে নির্মূল হতে পারে।
ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্যের বেশি পরিমাণে খাইলে ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারে একটি উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারের তুলনায় যা স্ন্যাকস, মিষ্টান্ন, পরিশোধিত শস্য এবং চিনিযুক্ত পানীয়তে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, উচ্চ ফল, সবজি এবং গোটা শস্যের খাদ্য ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৪ % কমতে পারে। এমনকি জেনেটিকভাবে যারা এই রোগে আক্রান্ত এবং অন্যান্য ঝুঁকির কারণ রয়েছে তাদের জন্যও।
১২ বছরের গবেষণার সময়েই ১,১৩,০০০ এর বেশি লোককে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২,৬০০ জন ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্র খাওয়ার ফলে ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে শরীরের চর্বি কমার মাধ্যমে রক্ষা হতে পারে। তবে স্বাভাবিক রক্তে শর্করার মাত্রা এবং নিম্ন প্রদাহের পাশাপাশি কিডনি এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
প্রথমবারের মতো আমরা দেখেছি যে স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ খাদ্র খাওয়ার ফলে বিপাক এবং লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা উভয়ের উন্নতি হয়। কিভাবে এই খাদ্যটি ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
কুইন্সের ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটির লেখক অধ্যাপক এডিন ক্যাসিডি এবং ড.ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য পুষ্টির প্রধান এবং চেয়ার অধ্যাপক টিলম্যান কুহনের মতে, তারা গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য কীভাবে ২ পর্যায়ে ডায়াবেটি্স ঝুঁকি কমাতে পারে এবং সনাক্ত করার চেষ্টা করেছে।
আমাদের ফলাফলগুলি পরামর্শ দেয় যে এই জাতীয় খাদ্য রক্তে শর্করা এবং লিপিডের মাত্রা এবং শরীলে চর্বি সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব ফেলে। এবং তারা এ দেখেছে যে অস্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি।গবেষণাটি ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাবে ৬ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে এটি ১০ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে৷ ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিস প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী৷
৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ১০ শতাংশের ২ পর্যায়ে ডায়াবেটিস রয়েছে, যা ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ১৬ শতাংশে বেড়েছে।